আবেদনে কি কি তথ্য থাকতে হবে
আবেদনে নিম্নলিখিত তথ্য ও বিবরণ থাকতে হবে
১. যে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করা হয়েছে তার নাম ও ঠিকানা
২. আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয়
৩. প্রতিবাদীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয়
৪. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে অথবা মামলার কারন সৃষ্টি হয়েছে তার নাম
৫. ঘটনা সৃষ্টির কারনে, ঘটনার স্থান, ইউনিয়নের নাম, ঘটনার তারিখ ও সময়
৬. অভিযোগ বা দাবির সংক্ষিপ্ত বিবরন, প্রকৃতি ও ক্ষতির পরিমান
আবেদন পত্র পাবার পর চেয়ারম্যান কি করবেন
আবেদন পত্রটি পাবার পর ইউপি চেয়ারম্যান তা পরীক্ষা করে গ্রহন করবেন। আবেদন পত্র গ্রহন করা হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিবাদীকে হাজির হতে সমন দেবেন এবং বাদীকে হাজির হতে নির্দেশ দেবেন।মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
আবেদনটি অসম্পূন হলে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকলে অথবা এখতিয়ার বহির্ভূত হলে তিনি তা নাকচ করতে পারবেন। তবে কী কারনে আবেদনটি নাকচ করা হলো অবশ্যই আবেদন পত্রের উপর লিখতে হবে।
প্রতিবাদী দাবি বা বিবাদ স্বীকার করলে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে না
সমন অনুযায়ী অথবা প্রকারান্তরে প্রতিবাদী হাজির হলে এবং দাবি বা বিবাদী স্বীকার করলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উক্ত দাবি পূরন করলে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে না।
কী কী কারনে আবেদন নাকচ করা যাবে
১. আবেদনের ফিস জমা না দিলে;
২. এখতিয়ার বহির্ভূত হলে
৩. অপ্রকৃস্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আবেদন হলে
৪. আবেদন অসম্পূন হলে অর্থাৎ আবেদনকারীর, প্রতিবাদী, স্বাক্ষীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয় না থাকলে
৫. ঘটনা, ঘটনা সৃষ্টির কারণ, ঘটনা স্থান সময় তারিখ,ক্ষতির পরিমাণ,প্রার্থিত প্রতিকার উল্লেখ না থাকলে
৬. ব্যক্তি গ্রাহ্য কারনে পূর্ব দোষী সাব্যস্ত হলে
৭. নাবালকের সার্থের পরিপন্থি হলে
৮. বিরোধটি নিয়ে সালিশির চুক্তি হলে
৯. সরকার বা স্থানীয় কতৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মবাচারী যদি দেওয়ানী মামলার কোন পক্ষ হয়
গ্রাম আদালতের এখতিয়ার
১. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারন উদ্ভব হবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারনত সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, সে ইউনিয়নে গ্রাম গঠিত হবে এবং অনুরুপ মামলার বিচারের এখতিয়ার গ্রাম আদালতের থাকবে।
২. যে ইউনিয়নে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, বিবাদের একপক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে এবং অপর পক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংগঠিত হবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হবে, সেই ইউনিয়নের গ্রাম আদালত গঠিত হবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করলে নিজ ইউনিয়ন হতে প্রতিনিধি মনোনিত করতে পারবে।
গ্রাম আদালতের ক্ষমতা
১. এ আইনে ভিন্ন রুপ কোন বিধান না থাকলে, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এর তফসিলের প্রথম অংশের বর্ণিত ফৌজদারী অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে কেবল মাত্র অনধিক পচিশ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণের আদেশ প্রদান করতে পারবে। তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত দেওয়ানী বিষয়াবলীর সাথে সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লেক্ষিত পরিমান অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিক কে সম্পত্তি বা এর দখল প্রত্যর্পনের জন্য আদেশ প্রদান কারতে পারবে।
গ্রাম আদালতে মামলার আবেদন পত্রের নমুনা
মামলার নাম :
দায়েবের তারিখ :
মামলার ধরন :
চেয়ারম্যান
১০ নং মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ
উপজেলাঃ বদরগঞ্জ, জেলাঃ রংপুর।
বিষয়ঃ গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন এবং অভিযোগ/দাবির বিবরণ।
আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা
|
প্রতিবাদীর নাম ও ঠিকানা |
স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানা |
ঘটনার স্থান : তারিখ : সময় : তফসিল : |
(এখানে আবেদন কারীর বক্তব্যের বিস্তরিত বিবরণ এবং তিনি কি প্রতিকার প্রার্থনা করেন তার বিবরণ থাকবে)
আবেদন কারীর স্বাক্ষর জাতীয় পরিচয় নং........ |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস